অর্থনীতি
দেশে এখন
0

মেহেরপুরের গ্রামগঞ্জে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুম

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী ছোট্ট এই জেলা একসময় সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও ২০০০ সালের পর থেকে বদলে যেতে থাকে। যার বড় কারণ জেলার হাজার তরুণের বিদেশে পাড়ি জমানো। একইসঙ্গে কৃষিতেও ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হতে থাকে এই জেলা আর সমৃদ্ধ হয় অর্থনীতি।

স্থানীয়রা জানান, 'আগে মেহেরপুরে কোন শোরুম ছিল না, দুই একটা দোকান ছিল। আর এখন অসংখ্য শোরুম হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে টিভি ফ্রিজ। কিছু টাকা জমা দিলেই কিস্তিতে নেয়া যায়।'

অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের রুচিরও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। দিন দিন বাড়তে থাকে সৌখিন পণ্যের চাহিদা।

২০১০ সালের পর থেকেই ধীরে ধীরে মেহেরপুরে গড়ে ওঠে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুম। জেলা শহরে কোম্পানির নিজস্ব শোরুমের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জেও গড়ে উঠেছে ডিলারভিত্তিক ব্যাক্তি মালিকানার শোরুম।

শোরুমের মালিকরা বলেন, 'আমাদের এখানে ইলেক্ট্রনিক্সের সকল পণ্যই আছে। গুণগত মানও ভালো।'

কৃষিতে সমৃদ্ধ মেহেরপুরে এখন আসছে বিপুল রেমিট্যান্স। গত কয়েক বছরে উন্নত হয়েছে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থাও। আর এটিই সহায়তা করছে এ অঞ্চলের ব্যবসা প্রসারে। শোরুমগুলোর নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম এখন টিভিকে বলেন, 'অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে পুলিশের নজরদারি জোরদার করা আছে।'

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নগদ মূল্যে ছাড়সহ বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। থাকছে কিস্তি সুবিধাও। তাই বিলাসী পণ্যের দিকে ঝুঁকেছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।

তবে এখনও কোন প্রতিষ্ঠানেরই সার্ভিস সেন্টার গড়ে না ওঠায় সামান্য সমস্যাতেই ছুটে যেতে হয় পার্শ্ববর্তী জেলায়।

মেহেরপুর জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল বলেন, 'এই অঞ্চলের মানুষ অধিকাংশই প্রবাসী হওয়ায় রেমিট্যান্স থেকেই এ অঞ্চল সমৃদ্ধ হচ্ছে দিনদিন।'

গ্রাহকের সেবা দিতে কিছু কিছু কোম্পানি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সার্ভিসিং সুবিধা দিচ্ছে। তবে এই সুবিধা আরও বাড়ানোসহ জেলায় সার্ভিসিং সেন্টার স্থাপনের দাবি ক্রেতাদের।