বরগুনার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ শামীম। পেশায় বংশীবাদক হলেও, বাঁশি বাজিয়ে মেটাতে পারেন না সংসারের খরচ। তাই জীবিকার তাগিদে শখের মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে ছুটেন জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
শামীম এখন টেলিভিশনকে বলেন, ‘সংসারে স্ত্রী-সন্তানসহ বাবা-মা আছে। শুধু বাঁশি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। মোটরসাইকেল চালিয়ে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাই।'
বংশীবাদক শামীমের মতো অনেকেই নেমেছেন বাইক রাইড সার্ভিসে। ভাড়ায় বাইক চালিয়ে লেখাপড়ার খরচ মেটাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থীরাও। তবে, সড়কে চালকদের ভোগান্তি ও রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি রাইডারদের।
রাইডাররা বলেন, ‘বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আমাদের লাইসেন্সটা ৫হাজার টাকার মধ্যে করলে সকলের করা সম্ভব হবে। তেলের দামটা বেশি বাড়সে, যা কামাই তেল ভরতেই শেষ হয়ে যায়।'
বরগুনার খানাখন্দে ভরা পথ-ঘাটে যাতায়াত অনেকটাই সহজ করেছে এই বাইক সার্ভিস। স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইক ভাড়া নিয়ে কম সময়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছেন পর্যটকরাও।
তারা বলেন, 'দ্রুততম সময়ে যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে বাইক। আমরা বাইকে চড়েই অভ্যস্ত। এখন বাস নেই বললেই চলে। কিন্তু রাস্তা খুব একটা ভালো না।'
বাইক রাইডারদের ভোগান্তি নিরসন ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে আমরা বাইক রাইডিংয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করবো। সরকারি নির্ধারিত ফি কমানোর সুযোগ নেই।'
ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন উপকূলীয় এই জনপদের প্রায় ২০ হাজার বাইক চালক।