মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় ১২০টি ইটভাটার মধ্যে চলতি মৌসুমে উৎপাদন শুরু করে প্রায় ৭০টি। এরমধ্যে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কারণে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়ে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা।
পানিতে ভিজে নষ্ট হয় পোড়ানোর জন্য রাখা লাখ লাখ ইট। উপজেলাগুলোতে প্রতিটি ইটভাটার চিত্র প্রায় একই রকম। অর্ধশতাধিক ইটভাটার প্রত্যেকটিতে নষ্ট হয়েছে ২ থেকে অন্তত ৫ লাখ ইট।
টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা বলে দাবি ইটভাটা সংশ্লিষ্টদের। বিপুল ক্ষতিতে মজুরি সংকটে শ্রমিকরাও।
ইটভাটার মালিকরা বলেন, ‘পটে পানি জমে কাঁচা ইটগুলো মিশে গেছে। চল্লিতে নিয়ে পোড়ানোর মত কোন কাঁচা ইট নাই। নতুন করে ইট বানানোর অর্থও আমাদের কাছে নেই।'
এ অবস্থায় ঋণ পরিশোধে ব্যাংকের কাছে বাড়তি সুযোগসহ ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জেলার ইটভাটা মালিক সমিতির।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. বশির রেজা বলেন, ‘ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে যদি আমাদেরকে শোধ মওকুফ করা হয় তাহলে ব্যবসার জন্য তা খুব সহায়ক হবে।'
মালিক-শ্রমিকরা জানান, সবকিছু ঠিক করে আবার ইট উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে এখনও প্রায় সপ্তাহখানেক। এতে বাড়বে উৎপাদন ও পরিচালন ব্যয়। যার প্রভাব পড়তে পারে বেচাকেনাতেও।