শীত এলেই চাহিদা বেশি হয় গরম কাপড়ের। তবে গরম কাপড় মানেই কিন্তু ভারী বা মোটা কাপড় নয়। শীতের কাপড় হওয়া উচিত এমন যা প্রতিদিন ব্যবহার ও যে কোনো পরিবেশে সহজেই মানিয়ে যায়।
রাজধানীর মতো যেখানে ঠান্ডার অনুভূতি তুলনামূলকভাবে কম সেখানে হালকা গরম কাপড়ই পছন্দ ক্রেতাদের। সে কারণে রাজধানীর বিপণীবিতানে পাতলা কাপড়ের ব্লেজার ও জ্যাকেটের বিক্রি বেশ রমরমা।
শীতে প্রকৃতি রুক্ষ হলেও পোশাকের রঙে থাকে উজ্জ্বলতা। তরুণদের চাহিদা মাথায় রেখে ব্লেজারের রঙে এসেছে পরিবর্তন। শুধু রঙ নয় ডিজাইন, কাপড়, বোতামেও লেগেছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। যেন শীত নিবারণ ছাড়াও অনুষ্ঠান বা পার্টিতে মানানসই হয় শীতের পোশাকটি।
ক্রেতারা বলেন, বিভিন্ন পার্টিতে গেলে এটা ফ্যাশনেবল মনে হয়, আর ঢাকায় শীত কম হওয়ায় ব্লেজার পছন্দ। বাহিরে যেকোন জায়গায় কমফোর্ট মনে হয়।
রাজধানীতে হিমেল হাওয়ার অনুভূতি খুব কম সময়ের জন্যই পাওয়া যায়। অনেকেই শার্টের নীচে টি-শার্ট বা শার্টের ওপর ব্লেজার পড়েন। যেহেতু ডিসেম্বর, জানুয়ারি বিয়ের মৌসুম তাই ব্লেজারের চাহিদা তুলনামূলক বেশি বলছেন বিক্রেতারা।
কাপড়ের মান এবং ডিজাইন ভেদে সর্বনিম্ন দেড় হাজার থেকে লাখ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে এসব ব্লেজার।
বিক্রেতারা বলেন, যার যে কাপড় পছন্দ সে সেরকম কাপড় নিয়ে যাচ্ছে। এই বিয়ের সিজনে বিয়ের ব্লেজারগুলো বেশি চলছে। বিশেষ করে এক রঙের ব্লেজার বেশি চলছে।
শীতে গরম পোশাকের তালিকায় ব্লেজারের ব্যবহার বহুকাল ধরেই চলে আসছে। তবে উষ্ণতা মেটানোর পাশাপাশি যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তা হলো পোশাকটি যেন হয় ফ্যাশনেবল।