পদ্মাসেতু চালুর পর বরিশাল থেকে ঢাকা যাতায়াতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় কমেছে। একইভাবে কুয়াকাটার দূরত্বও কমেছে। এতে করে এ অঞ্চলে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে।
এদিকে সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেন কিংবা ছয় লেন করার দাবি জানিয়েছেন বরিশাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি অসীম দেওয়ান।
পদ্মাসেতু চালুর পর বরিশালে দ্রুত শিল্পের প্রসার ঘটবে বলে প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু গত দেড় বছরে কাঙ্ক্ষিত শিল্প উন্নয়ন হয়নি। সেতু চালুর আগে বিসিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিলো ১৭৭টি আর এখন ১৮৯টিতে দাঁড়িয়েছে। তবে সব প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে নেই।
বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, দক্ষিণাঞ্চলকে শিল্পমুখী করার জন্য এই সড়ক প্রশস্ত করার বিকল্প নেই।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়ক ছয় লেন বা এক্সপ্রেসওয়ে হলে আমরা যে উন্নয়নের প্রত্যাশা করছি সেটা আশা করি সম্ভব হবে।
এদিকে ভাঙ্গা–বরিশাল–কুয়াকাটা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তবে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০১৮ সালে ২ বছরের একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়। এরপর দুই ধাপে ৩ বার সময় বাড়লেও অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়নি।
বরিশালের সড়ক বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, কাজ পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, কয়েক বছরের মধ্যে জনগণ সড়কের সুফল দেখতে পাবেন।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো শওকত আলী বলেন, কাজ শেষ হলে বরিশালের সঙ্গে সব জেলার যাতায়াত সহজ হবে। ফলে এ অঞ্চলের শিল্প ও কৃষি বাণিজ্যের আরও উন্নতি হবে।
ভাঙ্গা–বরিশাল–পটুয়াখালী–কুয়াকাটা মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ২৩৬ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের শুরুতে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। মেয়াদ বাড়ায় ব্যয় ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে।