পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
0

ঢাকায় দৈনিক আড়াই কোটির বেশি পলিথিনের ব্যবহার

গত শতকের আশির দশক থেকে দেশে পলিথিন ব্যবহারের বিস্তার ঘটে। সে সময় থেকে দেশে পলিথিন তৈরির কারখানা ছোট-বড় পরিসরে স্থাপন হতে থাকে। আর সর্বত্র পলিথিন ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব ২০০০ সাল থেকেই দেখা দিতে শুরু করে। এভাবেই নগর ও গ্রামীণ পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ হয়ে উঠে এই পলিথিন।

২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। অথচ খুব আয়োজন করেই দেশের প্রায় সব বাজারে পলিথিন ব্যাগের বেচাকেনা ও ব্যবহার হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নব্বইয়ের দশকে সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ লাখ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার হতো। আর ২০২৩ সালে শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন আড়াই কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহারের ধরণ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় আরও ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়, দেশে প্রায় তিন হাজার কারখানায় প্লাস্টিক ও পলিথিন তৈরি হয়। আর এসব কারখানায় দিনে প্রায় দেড় কোটি পলিথিন ব্যাগ উৎপাদিত হয়। এসব কারখানার অধিকাংশই ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত।

রাজধানীর চকবাজার পলিথিন কেনাবেচার সবচেয়ে বড় বাজার। যেখানে অলি-গলিতে অবৈধ পলিথিন বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন রঙ ও সাইজের নিম্নমানের পলিথিন এই বাজারে পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আগের চেয়ে পলিথিনের দাম বেড়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পলিথিন উৎপাদন হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিব আহমেদ বলেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের সহজলভ্যতা নিশ্চিতের পাশাপাশি ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ২ হাজার ৫০০ অভিযান চালানো হয়েছে। এতে প্রায় ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আর ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী বলেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অনেকে আগেভাগে জানতে পারলে পালিয়ে যায়। তবে লোকবল কম থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।