স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপে তীব্র স্যালাইন সংকট

ওষুধ কোম্পানিগুলোকে দুষছেন ফার্মেসী মালিকরা

১০ মাসের শিশুপুত্র মোস্তফাকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আছেন মর্জিনা। সন্তানের অসুস্থতা কাবু করে ফেলেছে তাকেও। মোস্তফাকে স্যালাইন দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকের। কিন্তু হাসপাতালে সরবরাহ নেই। অনেক ফার্মেসি খুঁজে বেশি দামে কিনেছেন একটি স্যালাইন।

গত ১০ দিন ধরে ব্রাহ্মবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যার বেশিরভাগই শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়ার প্রকোপ থাকে বেশি। আর বেশিরভাগ শিশু এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে ভাইরাসজনিত কারণে।

খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি রোগীদের প্রয়োজন হচ্ছে কলেরা'র স্যালাইনও। তবে সরবরাহ না থাকায় সবাইকে দেয়া যাচ্ছে না। ফার্মেসিগুলোতেও সংকট। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও ৯০ টাকার স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ৩শ' থেকে ৪শ' টাকায়। যদিও ফার্মেসি মালিকরা বলছেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো কলেরা'র স্যালাইন সরবরাহ করছে না। তাই সংকট আরও তীব্র হচ্ছে।

ওষুধ কোম্পানি বলছে, ডায়রিয়ার প্রকোপের সময় চাহিদা বেশি থাকায় স্যালাইনের কিছুটা সংকট থাকে। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক আছে। ফার্মেসিগুলোতে ৪-৫ দিন পর পর সরবরাহ করা হয়। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার খন্দকার আবু শাহীন জানান, শীতকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সব জায়গায় সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ৩০-৪০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে প্রতিদিন। স্যালাইনের রিকুজিশন দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে সোমবার থেকে স্যালাইন পাওয়া যাবে।