প্লাস্টিক ও পলিথিন গলিয়ে ডিজেল-পেট্রোল উৎপাদন

0

প্লাস্টিক ও পলিথিন গলিয়ে ডিজেল-পেট্রোল উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকার ৬ উদ্যোক্তা।

ডিজেল ৯০ টাকা ও পেট্রোল ১০০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কিছুটা কম হওয়ায় চাহিদা বেশ বেড়েছে।

গত ৬ মাস ধরে তারা প্রতিদিন গড়ে ২০০-২২০ লিটার ডিজেল এবং ২০-২৫ লিটার পেট্রোল উৎপাদন করছেন। প্রথমে ইউটিউবে প্লাস্টিক থেকে ডিজেল-পেট্রোল উৎপাদনের ভিডিও দেখে আগ্রহী হন ভালুকার ভায়াবহ গ্রামের ইঞ্জিন মিস্ত্রি বিল্লাল হোসেন। তিন বছরের চেষ্টায় সফলতা পায়। পরে কয়েকজনকে নিয়ে 'বন্ধন' নামের প্ল্যান্ট গড়ে তোলেন।

প্রায় ৬০০ কেজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি লোহার বয়লার, ডিজেল ও পেট্রোল চেম্বার, কুলিং পয়েন্ট এবং ফিল্টারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয় ওয়ার্কশপে বানানো হয়। প্লাস্টিক বর্জ্য বয়লারে ঢুকিয়ে এয়ার টাইট করে আগুন দিয়ে গলানো হয়। আগুনের মাত্রা যত তীব্র হয় পলিথিন-প্লাস্টিক গলে ক্রুডওয়েলের পরিমাণ তত বাড়ে। ক্রুডওয়েল কয়েকবার বয়লারে রেখে আগুনে জাল দেয়ার পর আলাদা আলাদা চেম্বারে বায়োগ্যাস, ডিজেল ও পেট্রোল জমা হয়। আর বায়োগ্যাস প্লাস্টিক গলানোর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

উদ্যোক্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ডিজেল-পেট্রোল উৎপাদন হচ্ছে। তবে পেট্রোল কম উৎপাদন হয়।’

স্থানীয় ক্রেতারা বলেন, ‘ট্রলার, ট্রাক্টরের জন্য আমরা ডিজেল কিনি। আবার পেট্রোল দিয়ে মোটরসাইকেলও চালানো হচ্ছে। এখানে থেকে একটু কম দামেই কিনতে পারছি।’

মোটরসাইকেলে স্থানীয় উপায়ে উৎপাদিত জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। ছবি: এখন টিভি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে ডিজেল-পেট্রোল উৎপাদনের উদ্যোগটি ভালো। তবে পরিশোধন প্রক্রিয়া সঠিক না হলে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য সরকারিভাবে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেজবাবুল আলম বলেন, উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করে পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য উদ্যোক্তাদের আবেদন করতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এই উদ্যোগটি খুবই ভালো, আমরা সব ধরনের সহায়তা করবো।

আরও পড়ুন: