গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে বুধবার মধ্যরাত থেকেই কক্সবাজারে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্র থেকে ৩ হাজারের বেশি ট্রলার উপকূলে ফিরে এসেছে। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নোঙর করেছে শত শত ট্রলার।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ফিরে আসা জেলে বলেন, ' আবহাওয়ার কারণে নৌকাগুলো মাঝ নদীতে মাছ ধরতে পারছে না। তাই সবার ফিরে আসতে হচ্ছে।'
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে বরিশালের আকাশও মেঘলা রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বরিশাল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী'র (সিপিপি) উপ পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, 'পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই সংকেতের কারণে সিপিপি'র স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা বন্দরের সব কাজ স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭টি জাহাজ অবস্থান করছে বন্দরে। সবগুলো জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিক চলছে।
এদিকে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। হয়েছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবার শঙ্কা আপাতত কম। তবে বৈরি আবহাওয়ায় দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরসমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্র অনেক দূরে হলেও এর অগ্রভাগের প্রভাবে উপকূলে দমকা বাতাস ও ঝড়ো হাওয়া বিদ্যমান রয়েছে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি বিদ্যমান হচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেন, 'আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ স্থানে ও উপকূলীয় এলাকায় দমকা বাতাস, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।'
ঢাকার গুমোট আবহাওয়া আরও ২-৩ দিন স্থায়ী হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে।