দেশে এখন
0

আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে গেল পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

শাহনুর শাকিব

পূর্বাচলে দেশের সবচেয়ে চওড়া ১৪ লেন সড়কের উদ্বোধনে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। বলছেন, তাদের জীবন সহজ করেছে প্রশস্ত এই সড়ক।

প্রশস্ত চকচকে রাস্তার মাঝখানে উড়ছে লাল নীল রঙের নানা পতাকা, আর ল্যামপোস্টে সারি সারি ফেস্টুন। যার ফাঁক গলে উঁকি দিচ্ছে অর্থনীতির নতুন আলো। যে আলোয় আলোকিত পূর্বাচল ও এর আশপাশের সকল উন্নয়ন।

মঙ্গলবার সকালে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে এ সাজসজ্জা।

এ সড়কের নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা সরণি, যার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে পূর্বাচলের আশপাশের মানুষের মধ্যে ছিলো বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। নেচে গেয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উদযাপন করে তারা বলেন, এ সড়ক জীবন পাল্টে দিয়েছে তাদের।

সড়কে যাতায়াতকারীরা বলেন, 'আগে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতো, সেখানে এখন আমরা ৩০ মিনিটে যেতে পারি। এ  অঞ্চলের জন্য এটা উন্নয়নের মাইলফলক।'

অন্য একজন পথচারী বলেন, 'শাক-সবজি, মাছ, সব এখন খুব দ্রুত ঢাকা শহরে পৌছে যায়।'

বাধাহীন সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ৫টি এ্যাডগ্রেট ইন্টারসেকশন। যেখানে নিচে চলবে মূল সড়কের গাড়ি আর ওপরে ইউলুপ। রাজউক বলছে, এ সড়কের মাধ্যমে ঢাকার সাথে দেশের পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ অনেক সহজ হবে।

রাজউক এর প্রধান নগরবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'এ সড়ক আমাদের জন্য একটি দ্বার উন্মোচিত করেছে, বিরামহীনভাবে এই রাস্তা অতি দ্রুত পার হওয়া যাবে। পূর্বাচল শহরটি তৈরি হলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস হবে এখানে, যা হবে স্মার্ট সিটি। রাজউক এর মাধ্যমে সরকার ঢাকাবাসীদের এটি উপহার দেবেন।'

এসএস