এসময় হাসপাতালে খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ছেলের বউ ডা. জুবাইদা রহমান, নাতনী জাইমা রহমান, ছোট ছেলের বউ শার্মিলী রহমান সিঁথি, ছোট ভাই শামীম এসকান্দার, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, বড় বোন সেলিনা ইসলাম সহ সকল আত্মীয় স্বজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সকল চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া নানা জটিল অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছিলেন। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি জটিলতা, পচনশীল যকৃতের রোগ, অস্থির হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ বয়ঃজনিত আরও বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।
২০২২ সালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই বছরের ৯ জানুয়ারি তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছে চিকিৎসা নেন।
১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বেগম জিয়া। তার আদি বাড়ি দেশের দক্ষিণ-পূর্ব জেলা ফেনীতে। তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬০ সালে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন।
১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি তিনি সাধারণ সদস্য হিসেবে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালের আগস্টে চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণার কারণে এক মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচনে কোনো আসনেই পরাজিত না হওয়ার অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনটিতেই জয়লাভ করেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনেও তিনটি আসন থেকে তার নির্বাচন করার কথা ছিল।





