এক-এগারোর ক্ষত ও প্রবাসে নেতৃত্ব: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান

তারেক রহমান
তারেক রহমান | ছবি: এখন টিভি
1

এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর মারাত্মক আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখান থেকেই দলকে সংগঠিত করেছেন তিনি। প্রবাসে কাটানো দীর্ঘ ১৭ বছরে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, গড়ে তুলেছেন স্মৃতি ও বন্ধন। এবার সেই অধ্যায়ের ইতি টেনে ফিরছেন মাতৃভূমিতে।

এক একটি দিন করে লন্ডনে তারেক রহমানের ১৭ বছর। ২০০৭ সালের এক-এগারোর রাজনৈতিক ঝড়ের পর গ্রেপ্তার, তারপর কারাবাস। ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। সেই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন বিএনপি নেতা কমর উদ্দিন, যার কথা তারেক রহমান কৃতজ্ঞচিত্তে বারবার স্মরণ করেছেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘এ মানুষটি যেভাবে তার সবকিছু দিয়েছেন, সব কিছু দিয়ে আমাকে চিকিৎসা সাহায্য দিয়েছিলেন তার জন্য আমি তার এবং তার পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম কমরউদ্দিন তখন তারেক রহমানের চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে নানাভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে ছিলেন।

আরও পড়ুন:

যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র সদস্য শরিফুজ্জামান চৌধুরী তপন বলেন, ‘সম্পূর্ণ দায়িত্ব কমরউদিন সাহেব খুব ভালোভাবে করেছেন। এমনকি তার জন্য যে বাজার করতেন সেটাও কমরউদ্দিন সাহেব খুব ভেবে করতেন।’

লন্ডনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার পর তারেক রহমান আবারো প্রবাস থেকে হাল ধরেন বিএনপির। ২০১৩ সাল থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্য বিএনপিকে দেন নানা দিকনির্দেশনা।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বিএনপির কমিটি ছিলো না। কমরউদ্দিন সাহেব মারা যাওয়ার পরে নেতা কিন্তু ওইদিন প্রত্যেক জোনালের নেতৃবৃন্দের কথা আট ঘণ্টা বসে থেকে শুনেছেন।’

যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিছবাহুজ্জামান সুহেল বলেন, ‘উনার কাছ থেকে আমরা সবসময় কিভাবে দলের জন্য কাজ করতে পারি এ নির্দেশনাই পেয়েছি।’

দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কঠিন সময়ে দলকে মনোবল যুগিয়েছেন। তার প্রাঞ্জল উপস্থিতি ও ছায়ার মতো নেতৃত্ব নেতাকর্মীরা গভীরভাবে মিস করবেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সালেহ গজনবী বলেন, ‘উনার নেতৃত্বে কোনো ইফ, বাট ছিলো না। উনি যা বলতেন সরাসরি বলতেন। উনার কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। সবমিলিয়ে উনি আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

তারেক রহমান সুদীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন লন্ডনে। এখানকার বাঙালি কমিউনিটির সাথে ১৭ বছরে জমেছে নানা স্মৃতি। তৈরি হয় শক্ত বন্ধন। সব ছেড়ে দেশে ফিরছেন। দেশমাতৃকায় ফেরায় নতুন সূচনায় শুভকামনা জানিয়েছেন লন্ডনে নেতাকর্মীরা।

ইএ