গতকাল (সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর) র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গভবন ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনসহ সারা দেশে বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে র্যাবের দৃশ্যমান উপস্থিতি ও টহল অব্যাহত থাকবে।
সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাবও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে জারিকৃত সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব ফোর্সেস কাজ করছে।
জানানো হয়, বিজয় দিবসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব ফোর্সেস গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এলাকার উল্লেখযোগ্য ভেন্যু ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি এবং নিরাপত্তা টহল বাড়িয়েছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর আশপাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি ও ইউনিফর্ম টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারি করবে।
অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে কেউ যেন কোনো প্রকার ব্যাগ, বস্তা বা কার্টুন জাতীয় কোন দ্রব্য বহন ও সংরক্ষণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি অথবা সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো এবং তারা যেন সংঘাতে জড়িয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
র্যাব জানায়, সারা দেশে ভিভিআইপি ও ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
শহরের প্রবেশ-বাহির পথগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হচ্ছে উল্লেখ করে র্যাব জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি সেখানে অনাকাঙ্খিত ঘটনার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসী, অপরাধীরা যেন বস্তি, হোটেল, রেস্ট হাউজে অবস্থান করে অপরাধ কার্যক্রম পরিকল্পনা করতে না পারে এ লক্ষ্যে নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সব বস্তি, হোটেল, গেস্ট, রেস্ট হাউজ, নগরীর উপকণ্ঠে নতুনভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা ও ক্রাইম জোনগুলোতে নজরদারি করা হচ্ছে।
র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিমকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক ও বোমাবাজিসহ সহিংস ঘটনা রোধকল্পে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আগত কোনো নারী যেন ইভটিজিং, যৌন হয়রানি অথবা সম্মানহানীর শিকার না হন সেদিকে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ব্যাটলিয়নগুলো নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (হটলাইন নাম্বারঃ ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে বলেও জানায় র্যাব।—বাসস





