আজ বেগম রোকেয়া দিবস

বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতি
বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতি | ছবি: সংগৃহীত
0

বেগম রোকেয়া দিবস আজ। ১৮৮০ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। আজ (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) তার ১৪৪তম জন্ম ও ৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি’।

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের অবদান স্মরণে আজ রোকেয়া দিবস পালন করা হবে। এর অংশ হিসেবে সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চারজনের হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেওয়া হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ বছর নারীশিক্ষা শ্রেণিতে (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা পুরস্কার অর্জন করেন।

জাতীয় পুরস্কার- সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি রোকেয়া পদকের জন্য ওই চারজনের নাম চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে। নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের চারজনকে এ পদক দেওয়া হয়।

পদক প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নারী শিক্ষার প্রসারে রোকেয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘ঊনবিংশ শতাব্দীতে রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া নারীদের ভাগ্যোন্নয়নের মূল চাবিকাঠি শিক্ষা। এ উপলব্ধি থেকে বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তারে বিরাট সাহসী ভূমিকা পালন করেন। বেগম রোকেয়া নারী উন্নয়নের পথে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তার ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।’

রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণে নারী অধিকার ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য যারা পদক পেয়েছেন তিনি তাদের অভিনন্দন জানান। প্রধান উপদেষ্টা রোকেয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

১৮৮০ সালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের এক নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। সে সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোনো প্রচলন না থাকায় পরিবারের সবার অগোচরে বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়া ও লেখা শেখেন তিনি।

পরবর্তীতে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। এই মহীয়সী নারী ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

রোকেয়া সাখাওয়াত ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী।

এএইচ