খালেদা জিয়া রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের মানচিত্র এঁকেছেন দেশ জাতিকে ঘিরে। রাজনৈতিক প্রতিটি বক্তব্যে দিয়েছেন সাম্যের ডাক, আহ্বান জানিয়েছেন হিংসা বিদ্বেষ দূরে রাখার৷ এজন্যই হয়ত বেগম জিয়ার জীবনের শেষ মুহূর্তেও তাকে আগলে রাখতে কতশত আয়োজন দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ও আপামর জনতার।
বাগেরহাট থেকে আগত নেতাকর্মীরা বলেছেন, তারা চান তাদের নেত্রী তাদের মাঝে ফিরে আসুক। এ জন্য তারা দোয়া ও মিলাদের আয়োজন ও করেছেন।
নেতা কর্মীরা বলছেন, খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রামের শিখা, আপোষহীন শপথে হিংসা দূরে রেখে হেঁটেছেন বন্ধুর পথে। রাজনৈতিক জীবনে তিনি তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গেও রেখেছেন নিবিড় সম্পর্ক। তাঁর ব্যক্তিগত সহমর্মিতা ও জনকল্যাণমুখী উদ্যোগ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে তাঁর প্রতি এক বিশেষ স্থান তৈরি করেছে। যার প্রতিফলন হয়ত এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছুটা দেখা মিলেছে।
আরও পড়ুন:
নেতাকর্মীরা জানান, ডাক্তার কিছু বলছে না, তারাও দেখতে পারছেন না। তবুও হাসপাতালের সামনে বসে দোয়া করছেন যেন খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বেগম জিয়া গত ২৩ নভেম্বর ভর্তি হন এভারকেয়ার হাসপাতালে। ভর্তির পর থেকেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনতা। আহাজারি, দোয়া আর ব্যক্তিগত নানা উদ্যোগে বেগম জিয়াকে ফিরে পেতে আকুতি তাদের।
একদিকে বেগম জিয়াকে ফিরে পেতে আকুতি অন্যদিকে সুযোগ সন্ধানী অনেকেই সেলফি, ছবি ও ফেসবুক লাইভে যুক্ত৷ এতে বিশৃঙ্খলার চিত্র ফুটে উঠেছে। এসব ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অনেকে
তবে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে মামলা, জেল, জুলুম আর নির্বাসিত জীবন বেগম জিয়ার অর্জিত পুরো রাজনৈতিক সাফল্যকে ম্লান করতে পারেনি। তাই তো জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আজও মানুষের ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন দুহাত ভরে। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবেও সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন বিএনপি নেত্রী।





