মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান দমন অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি | ছবি: সংগৃহীত
1

মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান দমনে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধ ও দমন অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানবপাচার বাংলাদেশের জন্য এখনো একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে নারী ও শিশু এবং আর্থিক প্রতারণা। ‘এটা শুধু মানবিক বিপর্যয় নয়, দেশের ভাবমূর্তির জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর।’

প্রেস সচিব জানান, গত সপ্তাহে অঙ্গ পাচারের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। উত্তরাঞ্চলের জেলা—বিশেষত জয়পুরহাট ও বগুড়া—থেকে মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্দেশে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন অধ্যাদেশে এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে পৃথক বিধান যোগ করা হয়েছে।

নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনার পর খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘২০০০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধ বিরোধী কনভেনশন অনুমোদন করে এবং ২০১২ সালে প্রথম মানবপাচার বিরোধী আইন প্রণয়ন করে। নতুন অধ্যাদেশে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিশেষ করে অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী প্রটোকল এর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন আইনে তদন্ত চলাকালে মানবপাচারে জড়িত সন্দেহভাজনদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত, সম্পদ জব্দ এবং আদালতের আদেশে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক নিয়োগ বিজ্ঞাপন ও পাচারের নতুন কৌশল এখন দ্রুত বাড়ছে। এগুলো রোধ করাও এ আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।’

তিনি জানান, অনেক সময় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য চাপের মুখে পড়তে হয়। তা ঠেকাতে নতুন অধ্যাদেশে সাক্ষী সুরক্ষা এবং জোরপূর্বক আপস রোধে বিশেষ বিধান যোগ করা হয়েছে, যাতে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচারের সুযোগ পান।

এসএইচ