তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অতীতেও ভারতের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছে, তবে কোনো জবাব পায়নি।’ তবে এ সময় তিনি যোগ করেন ‘এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।’
তবে চিঠি পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারত জবাব নাও দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, ঢাকার অনুরোধ পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা জবাব দেবে। তবে আমরা জবাবের প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন:
উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (আইসিটি-১)-এর রায়ের পর ঢাকা আনুষ্ঠানিকভাবে নোট ভারবাল পাঠিয়েছে ভারতের উদ্দেশে, যা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর আইসিটি-১ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরদিনই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান ভারতকে জানাবো। চিঠিটি আজ রাতে বা কাল সকালে যাই যাক, নিশ্চিতভাবেই যাবে।’
উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন যে, বাংলাদেশের অনুরোধটি দুই দেশের বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনেই পাঠানো হয়েছে।





