এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভূমিকম্পে ঢাকা, নরসিংদী ও গাজীপুরে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
ঢাকায় নিহত ৪
রাজধানীর বংশালের কসাইটুলী এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে হাজি আব্দুল রহিম (৪৭) ও মেহরাব হোসেন রিমন (১৩) ছিলেন সম্পর্কে বাবা-ছেলে। একই ঘটনায় মায়ের সঙ্গে বাজার করতে গিয়ে নিহত হন সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি।
এদিকে মুগদায় ভূমিকম্পে নির্মানাধীন একটি ভবনের ছাদের রেলিং ধসে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
রূপগঞ্জে দেয়াল ধসে ১০ মাসের শিশুর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ এলাকায় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পের সময় কুলসুম বেগম (৩০) নামের এক মহিলা তার শিশুকে কোলে নিয়ে দৌড়ে বাইরে বের হলে সড়কের পাশে থাকা একটি সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ মাসের শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
নরসিংদীতে নিহত ৫
সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি নামক স্থানে নির্মাণাধীন ভবনের মালামালের নিচে চাপা পড়ে আহত হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয় হাফেজ ওমর (৮) নামের এক শিশু ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে (৩৭)। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা উজ্জ্বলও মারা যান।
অন্যদিকে জেলার পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) নামক এক বৃদ্ধ মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়েন এবং পরবর্তীতে তাকে জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন (৬০) ভূমিকম্পের সময় ফসলি জমি থেকে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে আসার পথে রাস্তা থেকে নিচে লাফ দিয়ে পড়ে মারা যান বলে জানান স্থানীয়রা।
এছাড়াও শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের আজকিতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামে ফোরকান (আনুমানিক ৪০) ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে যান। এরপর তাকে তাৎক্ষণিক নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নেয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।





