আর খতমে নবুওয়াত পরিষদ আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশ এগিয়ে যাবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এ সম্মেলনের দাবি মানা হবে বলে জানান রফিকুল ইসলাম খান, একই অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, সব দাবি আলোচনার মাধ্যমে সংসদে সমাধানের সুযোগ রয়েছে।
শেষ কার্তিকের সকালে সবেমাত্র পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে,এর আগেই ৬৮ একরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ মুসল্লিতে। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে মূলত ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কালেমা খচিত পতাকা হাতে এ সমাবেশে আসতে থাকে বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওস্তাদ, মুসুল্লিরা।
‘নবীর পরে নবী নাই, রাষ্ট্রীয় ঘোষণা চাই, স্লোগানে স্লোগানে মধ্যে দুপুরে যে ধর্মীয় সমাবেশটির ব্যাপ্তি ছড়ায় মৎস্য ভবন, রমনা, শাহবাগ, ঢাবি ক্যাম্পাস পর্যন্ত।
একে একে মহাসম্মেলনে যোগ দেয় দেশি-বিদেশি বিশ্ববরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, দ্বীনের দাঈ, রা(সাথীরা)। এসময় কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি করেন তারা।
পরে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে মূল মঞ্চ থেকে মাঠের চারদিক, আল্লাহ আকবর, আর তাকবীরে ধ্বনিতে মুখর হয় ধর্মীয় সম্মেলনটি। উঠে এক দফার দাবি।
জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, গণভোট, পিআর, (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব), আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি ঘিরে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্দমান সংকট, দূরত্ব বিরাজমান।
এমন বাস্তবতায় শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর আন্তর্জাতিক এ খতমে নবুওয়াত সম্মেলনে যোগ দিয়ে জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন,কাদিয়ানীদের কার্যক্রম এদেশে বন্ধ করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ জানান, যারা কোরআন বিরোধী তারা অমুসলিম, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খতমে নবুওয়াতের সকল দাবি সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পাশ হওয়া উচিত।
আর সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, বাতিলের সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।
খুব অচিরেই কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আসবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন ওলামায়ে কেরাম। এছাড়াও সম্মেলনে ৬ দফার ঘোষণা পত্র পাঠ করা হয়।





