বিসিএসে থাকা ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে প্রশাসন ছাড়া বাকি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্তরা পদোন্নতি ও সুবিধা দেয়ার দাবি তুলে আজকের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে অধ্যাদেশ জারির দাবিও তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনটির সমন্বয়ক কৃষিবিদ আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল অভিযোগ করেন, গেল শাসনামলে শুধু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা পেলেও অন্য ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হয়েছেন।
যাচাই-বাছাইয়ের নামে সময়ক্ষেপণ করে মাত্র ৭২ জনকে আর্থিক সুবিধা ছাড়াই পদোন্নতি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির আদেশেও বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এ আদেশে শুধু বকেয়া মূল বেতন, গ্রাচ্যুইটি এবং পেনশনের জন্য আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত সব কর্মকর্তার আবেদন পুনর্বিবেচনা এবং প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতো ভূতাপেক্ষ বেতন ভাতাসহ সকল আর্থিক সুবিধা প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
আয়োজকরা জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপেক্ষা করে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় যুক্ত করায় ‘জুলাই সনদ’ দুর্বল হয়েছে।
পিএসসি তিন ভাগ করলে রাষ্ট্রের ব্যয় বাড়বে এবং ক্যাডারসমূহের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
এসময় প্রশাসন ক্যাডারের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বন্ধ, সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে অবিলম্বে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানান এ অবসরপ্রাপ্তরা।
তারা অভিযোগ করেন, সাত কলেজ নিয়ে শিক্ষাখাতে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।





