প্রজ্ঞাপনে নগদ লেনদেনের সময় জনগণকে অধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং জাল নোট শনাক্ত ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নোট গ্রহণের সময় নাগরিকদের অবশ্যই নোটের সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে— ওয়াটারমার্ক, নিরাপত্তা সুতা, ইন্টাগ্লিও (উঁচু) প্রিন্টিং, রঙ পরিবর্তনশীল কালি (যেখানে প্রযোজ্য) এবং মাইক্রো টেক্সট।
বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া যেসব জায়গায় সম্ভব, নগদ লেনদেনের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যদি কোনো সন্দেহজনক নোট পাওয়া যায় বা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানা থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ‘সত্যিকারের নোট চিনুন— নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করুন।’
আসল নোট শনাক্তের নির্দেশিকা ও তথ্য সহজেই পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে (এই ঠিকানায়)
এছাড়া দেশের সব ব্যাংক শাখায় আসল নোটের বৈশিষ্ট্যসম্বলিত ব্যানার ও পোস্টার দৃশ্যমানভাবে প্রদর্শিত রয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকা, ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত একাধিক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা জারি করেছে।
এ ধরনের তথ্য জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে জাল নোট তৈরি, সংরক্ষণ ও লেনদেন সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জাল নোটের বিস্তার ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবগত এবং তারা নিয়মিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে বলে জানানো হয়েছে।





