সাহিত্যে অঢেল অবদান আর মানুষের অন্তরে অম্লান স্পন্দন রেখে চলে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
গতকাল (শুক্রবার, ১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ৩ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় রিং প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের চলে যাওয়াকে অপ্রত্যাশিত বলছেন তার সহকর্মীরা। জানান, লেখালেখির মাঝে বেঁচে থাকবেন তিনি।
নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘লেখালেখির দিকে যখনই জাতীয় জীবনে কোনো সংকট রয়েছে তিনি নির্ভয়ে সত্য কথাটা উচ্চারণ করেছেন। এ ধরনের বিবেকী কণ্ঠস্বর আর আমরা খুব একটা শুনতে পাবো না।’
সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন মনজুরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে কাজী মাহবুবুল্লাহ পুরস্কার পান মনজুরুল ইসলাম। ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
আজ সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে তার দাফন হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।





