দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান আর মাদ্রাসার প্রায় শতভাগই বেসরকারি-আধা সরকারি বা এমপিওভুক্ত। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় নয় লাখ শিক্ষক কর্মচারি সোচ্চার এমপিওভুক্তি ও চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে।
চাকরি জাতীয়করণ, বয়সসীমা ৬৫ বছর, নূন্যতম বেতন ৩৫ হাজার ও পূর্ণাঙ্গ ভাতা কার্যকরের দাবিতে আজ (মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয় শিক্ষক সমাবেশের। যেখানে সারা দেশ থেকে যোগ দেন শিক্ষক কর্মচারি ঐক্যজোটের শিক্ষকরা।
সমাবেশের শুরুতে শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি চাকরি জাতীয়করণ। দাবিটা মরা জানাচ্ছি কারণ বেসরকারি শিক্ষকদের কোনো সামাজিক মর্যাদা নাই, আর্থিক সচ্ছলতা নাই, চাকরির কোনো সিকিউরিটি নাই। আমরা সমাজকে কিছু দিতে চাই।’
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, নির্বাচন বানচালসহ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শিক্ষকদের সজাগ থাকতে হবে।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আপনাদেরও যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুন্দর সঠিকভাবে হওয়ার জন্য দেশের মানুষের পাশে, গণতন্ত্রের পাশে, বিএনপির পাশেও আপনাদের দাঁড়াতে হবে।’
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, শিক্ষাঙ্গনে একদল অনুপ্রবেশ করেছে। তারা যেন আগামী নির্বাচনে প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে, হৃদয়ে বিশ্বাস করে না, জনগণকে ধোঁকা দিয়ে রাজনীতি করতে চায় শিক্ষা ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ ঘটেছে তাদের।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় শিক্ষকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের প্রতিটি জায়গায় আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। আজ গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে দেশের নির্বাচনকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করার জন্য। কেউ যেন সেটিকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করতে না পারে, তার দিকে আপনারা সজাগ সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। বন্ধুগণ, আমাদের লক্ষ্য একটাই। আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বেসরকারি শিক্ষক, কর্মচারিদের চাকরি জাতীয়করণের দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। এসময় আসন্ন নির্বাচনে শিক্ষকদের সমর্থন ও সহযোগিতা চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে অবশ্যই রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো বা চাকরি স্থায়ীকরণ বা জাতীয়করণের বিষয়টি ইনশাআল্লাহ ইতিবাচক বিবেচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিশন আমরা গঠন করবো ইনশাআল্লাহ।’
বক্তব্যে সুন্দর প্রত্যাশিত আগামীর বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার বলেও উল্লেখ করেন তারেক রহমান।





