বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঢাকা-খুলনা, ঢাকা- বরিশাল, ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে অবস্থান ও অবরোধসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উক্ত কর্মসূচিকে পুঁজি করে সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক উস্কানিমূলক বক্তব্য ও কার্যকলাপ পরিচালনা করেছেন। এতে ভাঙ্গা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এ আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে ভিডিও বার্তায় তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন।
নিক্সন চৌধুরী এরূপ বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি তার দলীয় কর্মী সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন:
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ জনগণের আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী তার অনুগত কর্মী সমর্থকগণ ভাঙ্গা থানা, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, ভাঙ্গা নির্বাচন অফিস ও ভাঙ্গা কৃষি অফিসে ভাংচুর এবং সরকারি গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে ব্যাপকভাবে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে । এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাঙ্গা থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পুলিশের তথ্যসূত্রে জানা যায়, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর আরও একটি ভিডিও বার্তায় নিক্সন চৌধুরী পুনরায় বর্তমান সরকার, নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষোদগার করেন। যেখানে তিনি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
এছাড়াও জেলা পুলিশের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উস্কানিমূলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি পুলিশকে সহযোগিতা করার প্রতি জনগণকে আহ্বান জানানো হয়।
সেইসঙ্গে মামলা দিয়ে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে উস্কানিমূলক বক্তব্য বা গুজব প্রচারে কেউ অংশ নিলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।





