অনুষ্ঠানের শুরুতে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আবদেল ওয়াহাব সাইদানি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, গণ্যমান্য অতিথি ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক বিএম জামাল হোসেন।
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আবদেল ওয়াহাব সাইদানি তার ভাষণে ১৯৫৪ থেকে ১৯৬২ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারানো ১৫ লাখ শহীদকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা এসেছে ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে। আজ আমরা সেই ইতিহাসকে সম্মান জানাই এবং বাংলাদেশের মতো বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশা করি।’
তিনি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্য, কৃষি ও কূটনীতি খাতে পারস্পরিক অংশীদারত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি জেনারেল চৌধুরী তার বক্তব্যে সার ব্যবসা, শুষ্ক অঞ্চলের কৃষি ও প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি বিএম জামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
আলজেরিয়া–বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল মোস্তফা অর্থনৈতিক সংযোগ ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে দুটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর অব অপারেশনস (ডোনর রিলেশনস) সাখাওয়াত খান ‘বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার মধ্যে কৌশলগত স্বাস্থ্য কূটনীতি ও শিক্ষা বিনিময়’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারিয়ান তাহরিম উপস্থাপন করেন ‘উপনিবেশমুক্তি ও উন্নয়ন: আলজেরিয়ার স্বাধীনতার দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা।
উৎসবের শেষ অংশে বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্যদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান ও ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশিত হয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আরও অনেকে এতে অংশ নেন, যা আলজেরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার মৈত্রী ও সংহতির প্রতীক হয়ে ওঠে।





