সকাল থেকেই তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কেউ সড়কে শুয়ে আছেন, কেউ–বা বসে আছেন। কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এখানকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখানে তৈরি হয়েছে যানজট। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হাওয়া পর্যন্ত তারা এখান থেকে সরবেন না।
এর আগে গতকাল (বুধবার) যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তিন দফা দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করতে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তথ্য উপদেষ্টা। তখন ঘড়ির কাঁটায় বাজে সাড়ে ১০টা। তবে সেখানে পৌঁছাতেই তোপের মুখে পড়েন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তাকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে চিৎকার ও শোরগোল করতে থাকে। এসময় বক্তব্য দিতে মাইক্রোফোন হাতে নিলে হঠাৎ করেই মাহফুজ আলমের মাথায় পানির বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। আর তাতে কথা শেষ না করেই ঘটনাস্থল ছেড়ে যান মাহফুজ আলম।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে থাকার ঘোষণা দিলেও,এমন উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি ও তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একইসাথে বোতল নিক্ষেপ ঘটনার সাথে জড়িতকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন তারা।
এমন অবস্থায় নিজেদের অবস্থানও পরিষ্কার করেন আন্দোলনরতরা। তারা বলেন উপদেষ্টার ওপর হামলার দায় নেবে না শিক্ষার্থীরা। সেইসাথে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তিন দফা দাবির বিষয় সুস্পষ্ট বার্তা না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে আন্দোলনরত প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে তাঁদের দাবি মেনে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন তথ্য উপদেষ্টা। তবে, আন্দোলনের নামে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘেরাও কর্মসূচী বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মাহফুজ আলম।
এরআগে তিন দফা দাবি আদায়ে লক্ষ্যে বেলা ১১টার দিকে যমুনা মুখি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেসময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানান আন্দোলনরতরা।