২০২৪ সালে সারাদেশে এক হাজার নয়জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
এমন অবস্থায় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং পথচারীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপার নিশ্চিতে রাজধানীর মিরপুরে উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অর্থায়নে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালে টানা ১০০ সেকেন্ড যান চলাচলের পর ৩০ সেকেন্ডের জন্য নির্বিঘ্নে সড়ক পারাপারের সুযোগ পাচ্ছেন পথচারীরা। তবে দীর্ঘদিনের অভ্যাস বদলে নতুন ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে দেখা যায় ট্রাফিক সহায়তা কর্মীদের। তবে বেশিরভাগ পথচারীই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
পথচারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'প্রতিনিয়তই রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। সেক্ষেত্রে চিন্তা করে এটা যদি প্রতিটি জায়গায় করা হয় তাহলে অনেক ভালো হবে।'
অন্য একজন বলেন, 'ছোটবেলায় দেখেছি যে মানুষ ট্রাফিক সিগন্যাল দিয়েই পার হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা গেছে যার যার মতো চলে, আইনের প্রয়োগ নেই, আর আইন মানারও একটা বাধ্যবাধকতা নেই, ইচ্ছা করেও মানে না।'
এই উদ্যোগ পরীক্ষামূলক হলেও ভবিষ্যতে রাজধানীজুড়ে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানায় ট্রাফিক বিভাগ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার বলেন, 'সিগন্যাল লাইট যখন পথচারীদের জন্য অন হবে তখন গাড়িগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, গাড়ি চলাচল। রপর পথচারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে রাস্তা পার হবে। এরপর আবার গাড়ি চলাচল করতে থাকবে। এভাবে এটা চলতে থাকবে। এর ফলে আমাদের ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। একদিকে পথচারীরা দুর্ঘটনা থেকে বাঁচবে। অপরদিকে আমাদের গাড়ি চলাচলও অব্যাহত থাকবে।'
রাজধানীতে মোট ২২টি পয়েন্টে এমন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বাতি চালুর প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার পাশাপাশি যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
