আজ (মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল) সকালে সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সাথে তৃতীয় দফায় বৈঠক শুরু করার পূর্বে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা জানান তারা।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্প্রেডশিট নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি, দফাওয়ারি বিস্তারিত আলোচনা করছি।'
তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ, যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ও সুপ্রিম কোর্টের সচিবালয়ে গঠন করার কথা বলা হচ্ছে, এটাসহ বিচার বিভাগের সকল স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু সবকিছু আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে হয়। কোনোকিছু যেন অসাংবিধানিকভাবে না হয়।'
রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বলে তাড়াহুড়ো করে নয় ধীরেসুস্থে আলোচনা চালানোর কথাও জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, 'বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সকল আলোচনার বিষয় অবহিত করা হচ্ছে এবং তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।'
তিনি বলেন, 'আলোচিত বিষয়ে কিছু সামঞ্জস্য ও মতানৈক্য উভয় আছে। নিঃসন্দেহে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত আছি। বিভিন্ন নতুন প্রস্তাব এসেছে, সেসব নিয়ে আমরা ঐকমত্য কমিশন নিজেদের সাথে আলাপ শুরু করেছি।'
তিনি আরো বলেন, 'এখন যা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যা আলোচনা হচ্ছে তা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্য পৌঁছানো যাবে আশা রাখি।'