বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি: দায়িত্বে অবহেলায় বড়াইগ্রাম থানার ওসি ক্লোজড

0

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ইউনিক রোড রয়েলস বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাসহ প্রশাসনিক কারণে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) সিরাজুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাকে পুলিশ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কারণে ওসিকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান।

আজ ( শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম থানা পরিদর্শন করেন ডিআইজি। এরপরই ওসি সিরাজুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়।

এর আগে এই ঘটনায় তিনদিন পর আজ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা করা হয়। দুপুরে ওই বাসের যাত্রী নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে মির্জাপুর থানা ওসি মো. মোশাররফ হোসেন জানান।

জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে যাত্রীবাহী ওই বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওমর আলীর দেয়া ভাষ্যে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি করে বাস থামিয়ে তারা বাস থেকে নেমে যায়।

আরো পড়ুন:

ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বাস চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তী সময়ে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার বেলা এগারোটার পরে যাত্রীরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় ঢোকানো হয়। এ সময় বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হয়ে যায় সবাই। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সময়মতো অবহিত করেননি ওসি সিরাজুল ইসলাম।

আসু