ঈদ বা যেকোনো উৎসব এলেই চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। আর এই সুযোগে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অবৈধভাবে পাচার করে আনা ভারতীয় চিনি দেশীয় ব্র্যান্ডের নকল বস্তায় ভরে চলছে বেচাকেনা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের চান্দের বাজারের খোরশেদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানে পাওয়া যায় অবৈধ ভারতীয় চিনি, যা রাখা হয়েছে নিত্যপণ্যের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড তীরের নাম ব্যবহার করে।
থরে থরে সাজানো শতাধিক বস্তার এসব চিনি অবৈধভাবে ভারত থেকে পাচারের মাধ্যমে আনা হয়েছে। দাম কম পাওয়ায় নেত্রকোনার কলমাকান্দার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভারতীয় চিনি এনে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছেন বলে জানান দোকানের মালিক। পাচার করে আনার পর দেশীয় নামদামি ব্র্যান্ডের নকল বস্তায় ভরে চিনি বিক্রি করা হয় ব্যবসায়ীদের কাছে।
ময়মনসিংহের ভালুকার চান্দেরবাজারের খোরশেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী খোরশেদ আলম বলেন, 'ইন্ডিয়া থেকে আসে চিনি। বস্তা পরিবর্তন করে তীরের বস্তায় চিনি দেওয়া হয়। বস্তা প্রতি দুই থেকে তিনশ’ টাকা কম। সবার দেখাদেখি আমিও বিক্রি করা শুরু করি।'
এদিকে দোকানে ভারতীয় চিনির মজুদ আছে এমন খবর পেয়ে ভালুকা থানা পুলিশের একটি দল খোরশেদ এন্টারপ্রাইজ থেকে ৭ হাজার কেজি পাচার করে আনা ভারতীয় চিনি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় দোকানের মালিক খোরশেদ আলমকে।
ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, 'ঘরের ভিতরে বিপুল পরিমাণ তীর লেখা বস্তার ভিতরে চিনি তারা মজুদ করে রাখছিল। ভারত থেকে তারা পাচার করে নিয়ে এসে বিক্রি করতো। এই ঘটনায় খোরশেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।'
গত আট মাসে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশীয় নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল বস্তায় ভরে পাচার করার সময় বা মজুদ করে রাখা প্রায় ৭২ হাজার ২০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।




