বগুড়ার ফুটপাতে জমজমাট পিঠার ব্যবসা

0

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের খাবারের সঙ্গে মিশে আছে পিঠা-পুলি আর পায়েস। তবে শহুরে জীবনে কর্মব্যস্ততায় বাসাবাড়িতে এসব বানানো হয়ে উঠে না। তাই ফুটপাতে বসেই পিঠার স্বাদ নেন শহরবাসী। বগুড়ার ফুটপাতে শতাধিক পিঠার দোকানে চার থেকে পাঁচ মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

নভেম্বরে শীত অনুভবের সাথে সাথে বগুড়ার ফুটপাতে পিঠার দোকান বাড়তে থাকে। শহরের সাতমাথা, কলোনি, খান্দার, বকশীবাজার, উপশহরসহ শতাধিক স্থানে এই মৌসুমি পিঠার দোকান বসে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকান জমজমাট থাকে। ভাপা, কুশলী, চিতই, ঝালপিঠা, ডিমপিঠাসহ বাহারি রকমের পিঠা তৈরি হয় এখানে, যা খেতে ভিড় করেন পিঠাপ্রেমীরা।

পিঠার ক্রেতারা বলেন, ‘গ্রামে যাওয়া হয় না। তাই এখানেই পিঠা কিনতে আসছি। আর এসব দোকানে সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায় বলে আমাদের সুবিধাও হয়।’

পিঠা বিক্রি বাড়লেও দোকানীদের লাভ কমেছে। পিঠার উপকরণ চাল, আটা, চিনি, তেল ও ডিমের দাম বাড়ায় এখন আর তেমন লাভ হয় না।

পিঠা বিক্রেতারা বলেন, ‘শীত মৌসুমেই আমাদের ব্যবসা হয়। জিনিসের দাম বেশি হওয়ায় কয়েক মাসের ব্যবসায় খুব বেশি লাভ হয় না। তারপরও ব্যবসা করেই চলতে হয়।’

সময় ও খরচ বাঁচিয়ে পিঠার স্বাদ নিতে অনেকে ফুটপাতের দোকানে আসছেন। আর এর পাশাপাশি এসব দোকানে অনেকের কাজের সুযোগও হয়েছে।

কবি ও প্রাবন্ধিক বজলুল করিম বাহার বলেন, ‘এসব পিঠার দোকান দিন দিন মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর শহরের মানুষ এসব দোকান থেকেই পিঠার স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করছেন।’

জেলার ফুটপাতের দোকানে দিন-রাত মিলিয়ে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় ব্যবসায়ী সমিতি।