জ্বর-বমি নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ মাসের সামিউল। ছেলে এখন একটু সুস্থ হলেও মা হামিদা এখনো জানে না আর কতদিন তাদের হাসপাতালে কাটাতে হবে।
ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ভর্তি আরেক রোগী আরাফ। ছেলেকে নিয়ে নোয়াখালী থেকে বাবা মোতালেব দিশেহারা হয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন গত বুধবার।
তিনি বলেন, 'তিন মাস বয়স থেকেই নিউমোনিয়ায়ঢ আক্রান্ত। বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগেই থাকে।'
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে মুগদা হাসপাতালের ১১০ জন এবং শিশু হাসপাতালে ৪২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বলছেন ২ বছরের কমবয়সী শিশুরা শীতে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাবিলা আকন্দ বলেন, 'বাচ্চার যত্নে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। যথাসময়ে টিকা দিতে হবে। শীতে গরম কাপড়ের চাপে বাচ্চারা যেন বেশি ঘেমে না যায় সেটা খেয়াল রাখা।'
শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষায় বাড়তি যত্নের পরামর্শ শিশু বিশেষজ্ঞদের।