দীর্ঘ তিন মাসের কঠোর সাধনার পর আজ ২৫০ জন নবীন অফিসার কমিশন লাভ করেন। কঠোর পরিশ্রমের ছাপ চোখে মুখে স্পষ্ট। তবে বাবা মা সর্বোপরি নিজের স্বপ্ন বাস্তবে ছুঁয়ে দেখার আনন্দের কাছে পরিশ্রমটুকু যেন মুহূর্তেই মিলিয়ে যায়।
এর আগে সকালে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন নবীন কর্মকর্তারা। বাদ্যের তালে তালে আর পায়ের ছন্দে চলে কুচকাওয়াজ। প্রধান অতিথি হিসেবে ৮৫ তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন সেনাপ্রধান। পরে নবীনদের উদ্দেশ্যে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে দৃঢ় থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'সততা, নিষ্ঠা ও আনুগত্য বজায় রেখে নবীনদের উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
২৫০ জন নবীন অফিসারের মধ্যে ২২৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী এবং একজন শ্রীলঙ্কান ছিলেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন সেনাবাহিনী প্রধান।
সেনা প্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মূলমন্ত্র সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা,সর্বত্র আমরা দেশের তরে। এ মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করে মাতৃভূমিকে ভালোবেসে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে জীবনের মূলব্রত।
সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার এ এম সানজিদ ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন ও অসামান্য গৌরবমন্ডিত সোর্ড অব অনার অর্জন করেন।