ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়ে নির্ভুল নিশানায় শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করা যাবে তুরস্কের তৈরি এই ড্রোন দিয়ে। বায়রাক্টার টিবি-২ ড্রোন এরইমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সক্ষমতা দেখিয়েছে। এই ড্রোনে চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট ছাড়াও আছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি।
বেজ স্টেশন থেকে তিনশ কিলোমিটার পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়। এছাড়াও এতে এমন সেন্সর রয়েছে যাতে করে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করেও ন্যাভিগেশন করতে পারে। ফলে এখন স্বশরীরে হাজির না থেকেও অনেক দূর থেকেই টার্গেট পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ড্রোনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাপ্রধান বলেন, 'সময়ের সাথে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। আমাদের কেউ আক্রমণ করলে বা আমরা আক্রমণ করলে ড্রোনগুলো কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।'
ড্রোনগুলো ২৫ হাজার ফুট উচুতে উড়তে সক্ষম। বিস্ফোরক বহন করতে পারবে ৭০০ কেজি পর্যন্ত। তবে এসব ড্রোন ছাড়াও সামনে আরও আধুনি ড্রোন সংযুক্তির পাশাপাশি সামনে নিজেরাই ড্রোন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, এমনটাই জানালেন সেনাবাহিনী প্রধান।
এসব ড্রোন একটানা ২৭ ঘন্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ধারণা করা হচ্ছে প্রতিটি ড্রোনের দাম পড়েছে কমবেশি ১০ কোটি টাকা।