বৈশ্বিক মন্দায় সাশ্রয়ী মূল্যের পোশাকের বাজার খুঁজছেন বিদেশি ক্রেতারা। যদিও ফ্যাশন কিংবা মানে কোন ছাড় দিতে রাজি নন তারা। তাই প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে রপ্তানি আয়ের শীর্ষ এই খাত। এই প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদন ব্যবস্থাকে স্বয়ংক্রিয় করছে পোশাক কারখানাগুলো। ম্যানুয়াল মেশিনের জায়গা দখল করছে আধুনিক অটো মেশিন।
কাপড় কাটা থেকে শুরু হয় উৎপাদনের প্রথম ধাপ। একসময় পুরো প্রক্রিয়াই ছিল ম্যানুয়াল। এতে ১০ গজের শতাধিক পিস কাপড় বিছিয়ে কাটতে ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হতো। এখন অত্যাধুনিক স্প্রেডার মেশিন ব্যবহার করে সেই কাজ করছেন দুই জন শ্রমিক। একইসঙ্গে কাপড় কাটার সময়ও কমেছে।
ডিজাইন থেকে সেলাই, প্যাকেজিং থেকে ফিনিশিং, উৎপাদন থেকে রপ্তানির প্রতিটি ধাপে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এতে পোশাক যেমন নিখুঁত হচ্ছে, তেমন সময় লাগছে কম।
সনেট ফ্যাশনের কাটিং ইনচার্জ মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আগে আমাদের বেশি সময় লাগতো। এখন অটো মেশিনে সহজে কাজ করতে পারছি।’
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অটোমেশনের মাধ্যমে কম সময়ে আমাদের উৎপাদন বাড়বে। একইসঙ্গে মানসম্মত পোশাক তৈরি হবে এবং যথাসময়ে রপ্তানি করা যাবে।’
শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায় কারখানা পরিচালনায় ২০ থেকে ৩০ শতাশ ব্যয় বেড়েছে। এ অবস্থায় বাড়তি খরচ সমন্বয়ে অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগ বেশি হলেও অন্তত ১৫ শতাশ জনবল কমবে।
বিকেএমইএ’র পরিচালক গাজী মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘কারখানার বেশকিছু জায়গায় অটোমেশনে যাওয়ার সুযোগ আছে, যা করলে আমাদের জনবল কম লাগবে।’
এদিকে তৈরি পোশাক শিল্পের পরিসর বাড়ায় অটোমেশনে শ্রমিকরা বেকার হবে না বলে জানান পোশাক কারখানার মালিকরা। বরং অটোমেশন প্রক্রিয়া পোশাক শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।




