বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাড়ি ফিরছে বাসিন্দারা

0

বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি আলোচনার পর স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে পাহাড়ের পরিবেশ। সহিংসতা বন্ধের কারণে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের নামে গুম-খুন ও চাঁদাবাজি করছিলো এই সংগঠনটি। পাশাপাশি নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে পাহাড়ি জনপদ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। আতঙ্কে নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পাহাড়ি কৃষিপণ্য উৎপাদনসহ নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম থমকে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে কেএনএফ'কে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে আলোচনার উদ্যোগ নেয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। পরে গত ৫ নভেম্বর অস্ত্রবিরতিসহ ৪টি বিষয়ে সম্মত হয় উভয়পক্ষ। এরপরই স্বাভাবিক হতে শুরু করে পাহাড়ের পরিবেশ।

বান্দরবানের বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার বম বলেন, বিভিন্ন কারণে স্থানীয়রা গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। এখন তারা ফিরতে শুরু করেছেন।

স্থানীয়রা বলেন, কয়েক মাস আমরা গ্রাম ছেড়ে জঙ্গলে চলে গিয়েছিলাম। বাড়িতে আসতে পারতাম না, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এখন আমরা আসতে পারছি।

রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহ্লাঅং মারমা বলেন, সবাই ফিরে আসায় পরিবারগুলোতে আনন্দ বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বান্দরবান সদর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান বলেন, ইতোমধ্যে ৫৭টি পরিবার ফিরে এসেছে। ফিরে আসা বাসিন্দাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এসব এলাকায় শান্তি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।

২০২২ সালে সশস্ত্র সংঘাতের মাধ্যমে পাহাড়ে আত্মপ্রকাশ করে কেএনএফ। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ সদস্যসহ বেশকিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।