মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গৃহিণী সাগরিকা খাতুন। গত ২০২২ সালে মার্সেল ফ্রিজ কিনে জিতে নেন নগদ ১০ লাখ টাকা। অনেক কষ্টে টাকা গুছিয়ে নিজের ঘরের জন্য ৩৪ হাজার টাকা দিয়ে মার্সেলের ফ্রিজ কিনেন তিনি। পরে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে হয়ে যান মিলিয়নিয়ার। অনেকেই পেয়েছেন প্রাইভেটকার, টাকাসহ বিভিন্ন পুরস্কার।
মার্সেল মিলিয়নিয়ার সাগরিকা খাতুন বলেন, ‘১০ লাখ টাকা পাওয়ার পর আমাদের গ্রামের অনেক মানুষ আমাকে দেখে ফ্রিজ কিনতে শোরুমে এসেছে। তারা অনেক কিছুই কিনেছে। এখন সবার আশা তারাও ভবিষ্যতে পাবে।
এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ উপলক্ষে চলছে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এক্ষেত্রে মার্সেলের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পণ্যের ক্রেতার জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জিতে নেওয়া ছাড়াও নিশ্চিত ক্যাশব্যাক রয়েছে। এর পাশাপাশি ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মোবাইল ফোন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার, ফ্যান, আয়রন, এলইডি বাল্ব, এক্সটেনশন সকেটসহ লাখ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরণের ফ্রি পণ্য জেতার সুযোগ থাকছে।
ক্রেতারা বলেন, ‘কম দাম এবং সহজ কিস্তিতে এখান থেকে ফ্রিজ কেনা যায় এবং সহজেই ফ্রি সার্ভিস পাওয়া যায়।’
আরেকজন বলেন, ‘ফ্রিজ নেওয়ার ৯ থেকে ১০ বছর হয়ে গেছে। এখন আসছি একটা এসি নিতে। মার্সেলের সকল পণ্য ভালো।’
পুরস্কার জিতে নিতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দিতে তাজ ইলেকট্রনিক্সে প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। পছন্দের পণ্য কিনতে ভিড় করছেন শোরুমটিতে। প্রতিমাসে ২৫০ থেকে ৩০০ টি ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয়।পাশাপাশি ফ্রি সার্ভিসিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
মার্সেল কর্মীরা বলেন, ‘এখানে নগদ এবং সহজ কিস্তিতে ক্রেতারা পণ্য কিনতে পারবেন।’
আরেকজন বলেন, ‘বর্তমানে সিজন-২০ উপলক্ষে পুরস্কার আছে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা। সর্বনিম্ন ৩শ’ টাকাসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। আমাদের কোনো কাস্টমারই খালি হাতে যাবে না।’
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তাজ ইলেকট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী জিয়াদুল ইসলাম লিজন বলেন, ‘মার্সেলের যেকোনো প্রোডাক্ট কিনলে তাজ ইলেকট্রনিক্স থেকে ৬ মাসে শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টের সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্টে আমরা প্রোডাক্ট দিয়ে থাকি।’
বিদেশি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।