ছাড়
বাজার
0

রোজায় রাজধানীর কয়েকটি সুপার শপে মূল্যছাড়

রমজান উপলক্ষে প্রায় অর্ধশত নিত্যপণ্যে ছাড় দিয়েছে রাজধানীর কয়েকটি সুপার শপ। এতে পণ্যভেদে ১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হচ্ছে ক্রেতার। বহির্বিশ্বের মতো দেশেও রোজায় কম দামে পণ্য বিক্রির যে উদ্যোগ, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোক্তারা। ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হলে দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে আশাবাদী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে বারবারই নজির স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। আজকাল ইউরোপ, আমেরিকার মতো মুসলিম সংখ্যালঘু দেশেও রোজায় মূল্যছাড়ের সংবাদ ওঠে আসছে গণমাধ্যমে। অথচ দেশের বাজারের চিত্র পুরোপুরি উল্টো। রোজা আর ঈদকে টার্গেট করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই ভোক্তার।

সেই আক্ষেপে প্রলেপ দিতে রাজধানীর কয়েকটি সুপার শপ, একটি কর্পোরেট গ্রুপ ও এক ব্যবসায়ী রমজান এবং ভোক্তা দিবস উপলক্ষে পণ্যে বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে আলোচিত মাংস ব্যবসায়ী খলিলের দোকানে মূল্যছাড় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

রমজানে বাজারমূল্য ৭৫০ টাকার পরিবর্তে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছে খলিল গোস্ত বিতান। এছাড়া চেইন শপগুলোতে তেল, ডাল, চিনি, আটার মতো নিত্যপণ্যে ১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রতিষ্ঠানভেদে সর্বনিম্ন ১০ দিন থেকে সর্বোচ্চ মাসজুড়ে চলবে এই কার্যক্রম।

মাংস বিক্রেতা খলিল বলেন, 'সারাবিশ্বে রমজানে পণ্যের দাম কমিয়ে বিক্রি করা হয়। আমার ইচ্ছে হলো আমিও কমিয়ে বিক্রি করি।'

সুপারশপ ব্যবসায়ী বলেন, 'আমরা ক্রেতাদের জন্য সবসময় বিশেষ অফার দিয়ে থাকি। রমজান উপলক্ষে এইটা আমাদের ব্যতিক্রম নয়।'

পণ্যের চড়া মূল্যের মধ্যে এতটুকু সাশ্রয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তাদের দাবি, সারাবছর ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের।

একজন ক্রেতা বলেন, 'আমাদের মতো যারা মধ্যবিত্ত তাদের জন্য আসলেই একটা ভালো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সব পণ্যে যেন এই ছাড় পাওয়া যায়।' আরেকজন বলেন, '৭০০ টাকায় গুরুর মাংস কিনতাম এখন এখান থেকে ৫৯৫ টাকায় কিনছি। যেখানে ১০৫ টাকা কম পাচ্ছি।'

রমজান ও ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে কর্পোরেট গ্রুপ ও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসাকে সাধুবাদ জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এই ছাড়ের ফলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদী তিনি। বলেন, 'কর্পোরেট গ্রুপগুলো কিন্তু আরও ৫-৭ টাকা কম দামে বিক্রি করছে। একটা সুপার শপে দেখলাম ৮০০ টাকার ৫ লিটার তেল ৭২০ টাকায় বিক্রি করছে। ৬টি সুপার শপের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের এই বিশেষ মূল্যছাড় উদ্বোধন করলাম।'

রমজানে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভোক্তারা। তবে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে এবারের রোজা স্বস্তিতে কাটবে বলে দাবি ভোক্তা অধিদপ্তরের।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর