সারা দেশেই বেড়েছে সবজির দাম

সবজির বাজার
সবজির বাজার | ছবি: এখন টিভি
0

রাজধানীর বাইরে সারা দেশেও বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। আর শীতকালীন প্রতিকেজি সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। এছাড়া এখনও সহনীয় হয়নি মরিচের দাম। সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবধরনের চাষের মাছের দামও।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন বাজারে বাড়তে থাকে ক্রেতা সমাগম। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবজির সরবরাহও। তবে তার প্রভাব নেই দামে।

সৈয়দপুরের সবজির বাজারে ক্রেতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজির সরবরাহও। তারপরেও বেগুন, ঢেঁড়স, পটলসহ বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর শীতের সবজি টমোটো ও শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যাতে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের।

ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এর আগে যেমন দাম ছিল, তার তুলনায় এখন বেশি মনে হচ্ছে। সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে। তবে আমরা আশাবাদী, সামনে শীতকালে হয়তো দাম কমবে আর কি।’

একই চিত্র সিলেটের বাজারেও। পাইকারি বাজারে ১৬০ টাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি হলেও হাত ঘুরে তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকায়। আর শিম কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৮০ টাকা। এছাড়া বেগুন, ঝিঙ্গাসহ বেশিরভাগ সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকার ঘরে। সরবরাহ কমের অজুহাতে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে নেত্রকোণার বাজারেও।

আরও পড়ুন:

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। উৎপাদন কম যে কারণে দাম বেশি। দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে।’

সবজির বাজার ঘুরে ক্রেতা যখন মাছের বাজারে. স্বস্তি নেই সেখানেও। সপ্তাহের ব্যবধানে ময়মনসিংহের বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের চাষের মাছ। এক কেজি ওজনের রুই, কাতল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। উৎপাদন খরচ ও পরিবহন ব্যয় বাড়ায় দাম বাড়তি বলছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বর্তমানে মাছ পাওয়াই যাচ্ছে না। এত ক্রাইসিস। সব মাছের দামই ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। বৃষ্টি হলে তো আরেও বেশি দাম বেড়ে যায়।’

আমদানির প্রভাবে নওগাঁর বাজারে কমেছে চালের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের চাল।

এসএস