ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীর বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলায় আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। যদিও মৌসুমের সময় পেঁয়াজের দর চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণপ্রতি দর পেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এতে ক্ষুদ্ধ ছিলো পেঁয়াজ চাষিরা। পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাষি পর্যা ২২ শ থেকে ২৫শ টাকার দর পেলে তারা লাভবান হয়।’
দুর্গাপূজার পরে কয়েক দিনের ব্যবধানে ২ হাজার টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে, যা খুচরা বিক্রর হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন:
পেঁয়াজের এ দর বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বাজারে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের চয়ন শেখ কানাইপুরে নালারমোড় বাজারে ১৭ মণ পেঁয়াজ নিয়ে এসেছেন বেচতে। তিনি বলেন, ‘২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরেছি পেঁয়াজ, এতে আমি খুশি।’
তার মতো অন্যান্য বিক্রেতারাও জানালেন একই কথা। বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বিল্লাল মাতব্বর বলেন, ‘কানাইপুরের নালার মোড়ে পেঁয়াজের বাজার খুবই নামকরা। প্রতি হাটে চাষিরা নিজেই পেঁয়াজ নিয়ে আসে বাজারে। দরদাম যাচাই করে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন।’
তিনি জানান, এখানকার পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে দেশ জুড়েই। বিশেষ করে এখান থেকে চট্ট্রগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটে পেঁয়াজ সরবরাহ হয়ে থাকে।





