রিমালের কারণে টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন রকম সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ঘূর্ণিঝড়ের পর শুক্রবারের বাজারে চাঙ্গা ভাব দেখা না গেলেও অধিকাংশ পণ্যের দামে ছিল ঊর্ধ্বগতি।
কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে সবজির দাম বেড়েছে। পেঁপে, শসা, গাজর ও টমেটো কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। তবে দোকানিরা বলছেন, বেচাবিক্রি ভালো না।
ক্রেতারা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সবকিছুর দাম এ সপ্তাহে একটু বেশি। আমাদের এখন বাজার করার সামর্থ্য নেই।’
শুক্রবার সকালের কারওয়ান বাজারের চিত্র। ছবি: এখন টিভি
সপ্তাহ ঘুরে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও ক্রেতাদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি ও সোনালী মুরগি। পাশাপাশি মুরগির চাহিদা কমে বেড়েছে ডিমের চাহিদা। ডিম ডজনপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দাম ৭৫০-৮০০ ও ১১০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। মাছের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। দাম কিছুটা কমায় রুই, কাতল মাছের চাহিদা বেশি।
একজন মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘ইলিশ মাছের দামটা আগের একটু কম। ১৮০০ টাকার ইলিশ এখন ১৬০০ টাকায় বিক্রি করতেছি।’
এদিকে কোরবানির ঈদের বাকি আর দুই সপ্তাহ। তবে তার আগেই বেড়েছে মসলার দাম। রসনা বিলাসের উপকরণ এলাচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬০০-৪০০০ টাকা। লবঙ্গের কেজি ২০০০-২২০০ টাকাসহ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে দারুচিনি ও জিরা।
বিক্রেতারা বলেন, ‘এলাচির দাম বাড়ছে। তবে লবঙ্গ ও গোলমরিচের দাম আগের মতোই আছে। কোরবানির আগে প্রতি বছরই মসলার দাম বাড়ে। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ছিল ২১০ টাকা। আর এ সপ্তাহে ২০০ টাকা।’
রিমালের প্রভাব, হঠাৎ গরম এবং বৃষ্টি; এমন বৈরি আবহাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্য। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।