খুচরায় যে টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে তা সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে ৮-১০ টাকা বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, বড় বড় মহাজনরা আলু কিনে মজুত করা এবং হিমাগারে সংরক্ষণ করায় আলুর সংকট বাজারে।
একদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি। অন্যদিকে সরকারি দামে পণ্য না মেলায় দোকানে এসে ক্ষোভ ক্রেতার। প্রশাসনের বাজার তদারকি আরও বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকরের দাবি ভোক্তার।
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, ময়মনসিংহ জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। যেখানে উৎপাদন হয়েছে ৬৩ হাজার টন আলু।
চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারের দুই প্রান্তে দুই চিত্র। ফুলকপি, পটল, শাক সবজির পাইকারি বাজারে নিত্য দিনের চেনা ব্যস্ততা। অথচ শেষ প্রান্তে আলুর আড়তে ভিন্ন চিত্র। নেই ব্যস্ততা বা আলু বিক্রির ধুম। অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
খাজা বাণিজ্যালয় নামের আলুর আড়তে সাধারণত সকাল ১০টার মধ্যে বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ বস্তা আলু। তবে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র দুই বস্তা আলু।
একই অবস্থা এখানকার বাকি আড়তগুলোতেও। রমজান মাসে চাহিদা কমায় কমেছে বেচাকেনা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, '৩০ টাকা কিনে ৩২ টাকা বিক্রির কথা বলতেছে। কিন্তু ৩০ টাকাই বিক্রি করতে পারছি না। অন্যান্য সময় ২০০-২৫০ বস্তা আলু বিক্রি করতে পারতাম। আজ বিক্রি হইছে মাত্র ২ বস্তা।'
পাইকারি পর্যায়ে সরকার আলুর দাম ২৩.৩০ টাকা বেঁধে দিলেও এখানে তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। এ অবস্থায় হতাশ ক্রেতারা।
রংপুরের দর্শনায় এলাকার কিশান হিমাগারের ধারণক্ষমতা এক লাখ ৬০ হাজার বস্তা। এখন পর্যন্ত যেখানে আলু এসেছে ১ লাখ ১৭ হাজার বস্তা। পুরো স্টোরেজ ভরবে কিনা সে সন্দেহ আছে। কারণ ভালো দাম পাওয়ায় অপরিপক্ক আলু আগেই তুলে ফেলায় কিছুটা সংকট তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা বেপারি ও হিমাগার কর্তৃপক্ষের।
তবে আলুর দাম বৃদ্ধির পেছনে কৃষককে পাল্টা দায়ী করলেন বেপারি ও হিমাগার মালিকরা।
হিমাগারের এজেন্টরাও বলছেন, গত বছর ভাল দাম ওঠায় এ বছর বেপারিদের চেয়ে কৃষক নিজেরাই আলু রাখছেন বেশি।