সারাবছর খেজুরের চাহিদা থাকে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টন। যার অর্ধেক চাহিদা থাকে কেবল রমজানকে ঘিরে। ব্যবসায়ীদের পরামর্শে এবার দাম কমাতে শুল্কছাড় দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মানভেদে প্রতি কেজিতে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমেছে ১৫ থেকে ৫৭ টাকা পর্যন্ত।
অথচ রমজান আসার আগেই ইফতারের এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। এক কেজি খেজুর কিনতে মানভেদে ভোক্তাকে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে। অন্যদিকে চিনিতেও স্বস্তি নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ভোক্তা অধিকার । এতে অংশ নেন মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির ৪৪ নেতা। এ সময় দাম কমানোর করণীয় বিষয়ের চেয়ে ভোক্তার অভিযান না করার অযৌক্তিক আবদার জানান তারা।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়ে অংশ নেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, ‘আপনারা (ভোক্তা অধিকার) যখন বাজারের একটা দোকানে ঢুকেন তখন পুরো বাজারটা বন্ধ হয়ে যায়। যদি আমাদের কাউকে সাথে নিয়ে যান তাহলে সব দোকান বন্ধ হবে না।’
জবাবে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অভিযানের উদ্দেশ্য ব্যবসায়ীদের হয়রানি নয়, বরং তারা যেন সরবরাহ ঠিকঠাক রাখে সেজন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোন প্রতিপক্ষের বিষয় না। আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। এটাকে আমরা অভিযান নয়, মনিটরিং বলতে চাই। এটা করে আমরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না।’
পুলিশ দিয়ে বা অভিযান চালিয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয় বলে মত দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোজায় পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকবে, কোন ঘাটতি হলে তাৎক্ষণিক জানানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদানিকারক বা উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যেকটা জায়গা শক্তিশালী হতে হবে। তেল কিংবা চিনি; কোন আমদানিকারক যেন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ব্যবসা করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি চার পণ্যের শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর মধ্যে চিনিতে প্রতি টনে ৫০০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার টাকা, খেজুরে শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, তেলে ১৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ এবং চালে ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার এবং ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।