সবজির দাম কমলেও এখনো অস্থির চাল-তেলের বাজার

কাঁচাবাজার
বাজার
0

সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম। তবে ঘাটতির অজুহাতে আরও অস্থির হয়ে উঠেছে চাল ও তেলের বাজার। মাছের বাজারও চড়া হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগী ও মাংসের বাজার।

মাঘের মাঝামাঝি সময়ে এসে রাজধানীর বাজারগুলোতে আরও বেড়েছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। এতে দুই-একটি বাদে প্রায় সব ধরনের শাক-সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ২০-৩০ টাকার মধ্যে।

সবজির দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। আর প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে।

বিক্রেতার বলছেন সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম। আর দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ ক্রেতারা বলছেন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে সারা বছর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্য রাখার কথা।

একজন বিক্রেতা বলেন, 'শসা ২০ টাকা, শিম ১৫ টাকা, টমেটো ২০, গাজর ৩০ টাকা কেজি।'

একজন ক্রেতা বলেন, 'বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের সমস্যাটা বেশি। এটা ভাঙা গেলে সবজির বাজার কিছুটা কম থাকবে।'

কিন্তু সবজির বাজারের ক্রেতাদের এ স্বস্তি ফিকে হয়ে যাচ্ছে চালের বাজারে গেলেই। মাসখানেক আগের থেকে বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করার পর, চালের শুল্ক কমানো ও আমদানি করার অনুমতি দেয়া হলেও সরকারের এসব উদ্যোগের কোন প্রভাব পরেনি বাজারে।

একজন ক্রেতা বলেন, 'সবজির বাজার ঠিক আছে, ইটা কিনে একটা আনন্দ পেয়েছি। কিন্তু চালের বাজারে আসলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। দাম বাড়তেই আছে দিন দিন।'

একজন বিক্রেতা বলেন, 'নাজিরশাইল এখন সিজন চলে, দাম কমার কথা। কিন্তু উল্টা দাম সাত থেকে আট টাকা বেড়েছে। এটা কোনোদিন কল্পনা করা যায় না।'

কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে প্রায় সব ধরনের চালের দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম, কেজিতে ১০ টাকা। আর নাজিরশাইল কেজিতে বেড়েছে ৭-৮ টাকা পর্যন্ত।

একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে তেমন কোনো স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রত্যেক মাছের দামই বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০-২০ টাকা। বেশি দামের পেছনে বিক্রেতারা দিচ্ছেন সরবরাহ ঘাটতির চিরচেনা অজুহাত।

একজন বিক্রেতা বলেন, 'এখন আমদানি কম। এই কমের কারণে দামটা একটু বেশি। সামনে যখন আমদানি বেড়ে যাবে তখন দাম কমে যাবে।'

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ও সোনালি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকাতে।

অপরিবর্তিত আছে মাংসের বাজারও।বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

এএইচ