ঈদুল ফিতরের দিন ঘনিয়ে আসায় চাঁদপুরে জমে উঠেছে কসমেটিকস পণ্যের বেচাকেনা। পছন্দের প্রসাধনী কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এর মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।
চেহারার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে লিপস্টিক। তাই পছন্দের পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে লাল ও হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক কিনছেন কেউ কেউ। পাশাপাশি উপটান, স্ক্রাব, ফেসমাস্ক, ফাউন্ডেশন, ফেসওয়াশ ও অর্গানিক মেহেদির মতো পণ্যেও ক্রেতা আকর্ষণ চোখে পড়বার মতো।
ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কসমেটিক্স আইটেম অনেক কিছু কেনা হয়েছে।’
পণ্যের গুণগত মান ও দামের দিকে নজর দিচ্ছেন ক্রেতারা। নকল পণ্যের বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পেতে দেশীয় পণ্যেও দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা মেহেদির। এতে খুশি বিক্রেতারাও।
বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘১৫ রোজার পরই মূলত আমাদের কসমেটিক্স পণ্যের বেচাকেনা শুরু হয়।’
আরেকজন বলেন, ‘এখন দেশের মধ্যে ভারতীয় পণ্য না আসায়, দেশি পণ্যের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে।’
নকল প্রসাধনীর সরবরাহ ঠেকাতে পারলে এবং দেশি পণ্যের গুণগত মান বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আগে বিদেশি পণ্যই বেশি চলত এবং তাদের ওপরেই আমাদের নির্ভরশীলতা ছিল। এখন আমাদের দেশে মমতাজ, তিব্বতসহ আরো অন্যান্য কোম্পানি যারা প্রসাধনী প্রস্তুত করছে, তাদের দাম তুলনামূলকভাবে কম।’
ভবিষ্যতে দেশের প্রসাধনী শিল্প আরো আধুনিক হয়ে ওঠবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতা-বিক্রেতা সবার।