দেশে এখন
বাজার
0

ক্রেতাশূন্য রাজশাহীর বিভিন্ন মার্কেট

সাম্প্রতিক আন্দোলনে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ক্রেতাশূন্য রাজশাহীর বিভিন্ন মার্কেট। এ অবস্থায় মার্কেটের দোকানগুলোর বেচাকেনা ঠেকেছে ২০ শতাংশে। ব্যবসায়িক পরিবেশ ফেরাতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

উত্তরবঙ্গের মার্কেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজশাহীর আর.ডি.এ মার্কেট। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন তিনতলা মার্কেটটিতে দোকান প্রায় আড়াই হাজার। সারাবছর ক্রেতার ভিড় থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় ক্রেতাশূন্য। ভাটা পড়েছে দোকানগুলোর ব্যবসায়।

গেল দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মার্কেটটিতে কমেছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ ক্রেতাদের উপস্থিতি। এই মার্কেটে কোন রকম সহিংসতা বা ভাঙচুরের ঘটনা না ঘটলেও ক্রেতা না থাকায় দোকানগুলোর বেচাকেনা কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। ফলে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা।

স্বাভাবিক সময়ে এখানে প্রতিমাসে প্রায় শতকোটি টাকার ব্যবসা হলেও চলমান মন্দায় তা অর্ধেকেরও নিচে নেমেছে। এ অবস্থায় দোকান ভাড়া ও কর্মচারীর বেতনসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে বড় অঙ্কের লোকসান গুণছেন ব্যবসায়ীরা।

৫ আগস্টের পর রাজশাহীর বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে ঘটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় জনমনে ছড়িয়ে পড়ে ভীতি। তবে বর্তমানে কিছুটা স্বস্তি ফেরায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারছেন অনেকেই।

একই অবস্থা রাজশাহী নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেইন শপগুলোর। তবে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে নগরীর থিম ওমর প্লাজা মার্কেট।

১৮- ২০ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। দিনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হওয়া মার্কেটটিতে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকান, চলছে সংস্কার কাজ।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুদ্র ঋণে জর্জরিত, প্রতি মাসে কিস্তির টাকা ঠিকই পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই লোকসান কাটিয়ে উঠতে অনেক দিন সময় লাগবে ব্যবসায়ীদের, বললেন আর.ডি.এ ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আলহাজ্ব মো. ইয়াসিন আলী।

দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং লোকসান কাটিয়ে পুনরায় চাঙ্গা হবে ব্যবসা, সে আশায় দিন গুনছেন তারা।

tech