বাজার
0

সরবরাহ কম থাকায় ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকামের সার্বিক পরিস্থিতি। তবে সরবরাহ কম থাকায় সব জাতের ধানের দাম মণপ্রতি বেড়েছে অন্তত ৫০ টাকা। ফলে ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজারও। মূলত ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত টাকা তুলতে না পারায় মোকামের জন্য চাহিদামতো ধান কিনে আনতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে আগামী সপ্তাহ থেকেই ব্যাংকগুলোতে লেনদেন স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি নগদ টাকার প্রবাহ বাড়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

জনশ্রুতি আছে, শতবছরেরও বেশি সময় ধরে আশুগঞ্জের মেঘনাপাড়ে বসছে ধানের এই হাট। এতে ধানের যোগান দেন কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জসহ অন্তত ৭ জেলার ব্যবসায়ীরা। মৌসুমে এখানে দিনে অন্তত ৮ কোটি টাকার ধান বেচাকেনা হয়।

দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ মোকামে বর্তমানে বিআর-২৮ জাতের ধান প্রতিমণ ১৪৫০ টাকা, বিআর-২৯ ধান ১৩৪০ থেকে ১৩৬০ টাকা এবং মোটা ধান পাওয়া যাচ্ছে ১১৩০ টাকা মণ দরে। যা গত কয়েকদিনের তুলনায় অন্তত ৫০ টাকা বেশি।

মূলত ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার প্রবাহ কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত টাকা তুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে মোকামের জন্য চাহিদা মতো ধান কিনে আনতে পারছেন না তারা। এছাড়া একই সংকটে চালকল মালিকরাও পর্যাপ্ত ধান কিনতে পারছেন না মোকাম থেকে। আর চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় ঊর্ধ্বমুখী ধানের বাজারদর।

কয়েকজন ধান ও চাল ব্যবসায়ী জানান, ব্যাংক খুললেও কিন্তু লেনদেন ঠিক মতো হচ্ছে না। তাই আমদানি কম। প্রতিদিনই ধানের দাম বাড়ছে।

এদিকে, ধানের দাম বাড়ায় ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজারদর। সপ্তাহ ব্যবধানে বিআর-২৮ জাতের চালের বস্তা প্রায় ১০০ টাকা বেড়ে ২৮শ' টাকা এবং বিআর-২৯ চাল বেচাকেনা হচ্ছে ২৭শ' টাকা বস্তা।

শিগগিরই ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক লেনদেন ও নগদ টাকার প্রবাহ বাড়বে বলে আশা ব্যাংকার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম খাদেম বলেন, 'আমরা কাওকে ফেরত দিচ্ছি না কম-বেশি সবাইকেই দিচ্ছি। নগদ টাকার প্রবাহটি আশা করি কিছুদিনের মধ্যে কেটে যাবে।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালকলগুলো থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চাল বাজারজাত করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে।

tech