খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে প্রতিবছর ৪ কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এই ধান থেকে উৎপাদিত চাল চকচকে করার জন্য পাঁচবার পলিশ করা হয়। এতে করে ৪ থেকে ৫ শতাংশ চাল ওজনে কমে যায়। ফলে বছরে ১৬ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়। যদি দুইবার পলিশ করা যায়- তাহলে চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি লোকসান কমবে। এছাড়া চাল উৎপাদনে খরচ কমার ফলে ভোক্তারা আরও কম দামে চাল পাবে।'
তিনি বলেন, 'হঠাৎ করেই যখন চালের দাম বাড়ে, তখন খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন মিল মালিকরা দাম বেশি নেয়। এজন্য তাদেরকে দাম বাড়াতে হয়। ভোক্তাদের সুবিধার্থে এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত, ওজন, উৎপাদনের তারিখ এবং মিলগেটে কত দাম- সেটি লিখতে হবে। যাতে করে খুচরা ব্যবসায়ী না বলতে পারেন যে; তারা বেশি দামে কিনেছেন।'
মন্ত্রী বলেন, 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতিবছর ধান উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, উদ্বৃত্ত থাকতো। তবে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিপণন ব্যবস্থা সুষ্ঠু রাখা, সরকারি মজুত বৃদ্ধির জন্য স্থাপনা নির্মাণ। এছাড়া কেউ যেন বেশি মজুত রেখে সরকারকে সংকটে ফেলতে না পারে- তার জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। যে আইনে মজুতদারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।'
আলোচনা সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।