এরইমধ্যে রাজধানীতে ঈদের নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। সময় হাতে নিয়ে চাঁদরাত পর্যন্ত চলবে এই কেনাকাটা। দোকানগুলোতে বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত সেমাইয়ের সরবরাহ। এছাড়া কমলা ও হলুদ রঙের রঙিন সেমাইও আছে।
শুধু সেমাই নয়, বাজারের তালিকায় যোগ হয়েছে চিনি, দুধ, কিসমিস, বাদামসহ মিষ্টিজাতীয় খাবারের পণ্য। এরসঙ্গে পোলাও আর মাংসে স্বাদ বাড়াতে আছে ঘি, আলু বোখারা এবং নানা ধরনের মসলা।
ভিড় ও চাপ সামলাতে সময় নিয়ে ঈদের বাজারের কথা জানান অনেকে। আবার ছুটিতে রাজধানীতে না থাকলেও বাজার করে নিচ্ছেন দুই-একজন। তবে স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে ঈদের বাজার এখনও দুশ্চিন্তার নাম।
ক্রেতারা বলেন, ‘দোকানে ভিড়ের কারণে আগে আগে কিনতে আসছি। কিছু কিছু জিনিসের দাম আগের তুলনায় একটু বেশি।’
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেমাইসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। বাকি পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খোলা লাচ্ছা সেমাই কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা, আর বাংলা সেমাই কেজি প্রতি ১০০ টাকো এবং রঙিন সেমাই ২৬০ টাকা।
এছাড়া গুঁড়ো দুধ, চিনি, কিসমিস, পোলাও চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এসময় কয়েকটি ছাড়া বাকি সব মসলার দাম অপরিবর্তিত আছে বলে জানায় বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে লাচ্ছা সেমাই, খোলা সেমাই ও গুঁড়ো দুধের দাম স্বাভাবিক আছে। ঈদের এখনো ১২ দিন বাকি আছে, বেচাকেনা কিছু বাড়তে পারে।’
আরেকজন বলেন, ‘এবার তেল এবং চিনির দাম গতবারের চেয়ে বেশি।'
অপরদিকে রমজানের শুরুর দিকের চেয়ে সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে। রাজধানীতে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আর সোনালির কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা।