বাজার
0

লিটারে ১০ টাকা কমলো সয়াবিন তেলের দাম

রোজার আগেই লিটারে ১০টাকা কমলো সয়াবিন তেল। এতে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৬৩ টাকায়, আর খোলা তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।

আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্স ও জাতীয় কমিটির ৮ম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন থেকে আমদানি শুল্কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি মাসের ১৫ তারিখে নির্ধারণ করা হবে সয়াবিন তেলের নতুন দাম। এছাড়া আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের যে মজুত রয়েছে তাতে কোন সংকট হবে না বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রমজান আসলেই ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদার সুযোগে দামও বেড়ে যায়। এবার রমজানকে সামনে রেখে চার নিত্যেপণ্যে শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চিনি, ভোজ্যতেল খেজুর ও চালের শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর এসব পণ্য খালাসে তৎপর হন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য বলছে , শুল্ক কর কমানোর পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে নতুন শুল্ক হারে ভোজ্যতেল খালাস হয়েছে প্রায় ৯৯ হাজার মে.টন। এতে সয়াবিন তেলে ছয় থেকে সাড়ে ছয় টাকা এবং পাম তেলে কমেছে লিটারে ৫ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্ববাজারেও কমেছে সয়াবিন তেলের দাম। গত বৃহস্পতিবার শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে সয়াবিনের দাম আরেক দফা কমায় পণ্যটির দাম গত তিনবছরে সর্বনিম্নস্তরে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ১ কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১ ডলার, শূন্য ১ সেন্টে।

এমন প্রেক্ষাপটে, আজ মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্যপ্রতিমন্ত্রী।

সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে আগামী বাজেটে নিত্য পণ্যের আমদানি শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি ছিল ব্যবসায়িদের। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীও জানালেন, এখন থেকে আমদানি শুল্কের ওপর নির্ভর করে প্রতি মাসের ১৫ তারিখে নির্ধারণ করা হবে সয়াবিন তেলের নতুন দাম। এছাড়া ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির বিষয়েও অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়েও আমরা কমিয়ে আনবো। এক লিটার ১৪৯ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি হবে। আশা করছি সাধারণ ভোক্তারা উপকৃত হবে। এই বাজার মূল্যটা পহেলা মার্চ থেকে কার্যকর করবো।'

গত আগস্টে পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ, এরপর ডিসেম্বরে রপ্তানিই সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সোমবার প্রতিবেশী দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেয় নয়া দিল্লি।